মোহাম্মদ আলীর দূর্লভ কিছু ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোহাম্মদ আলী একজন সাবেক মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা। তিন বারের ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন এবং অলিম্পিক লাইট-হেভিওয়েট স্বর্ণপদক বিজয়ী। ১৯৭৫ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। জীবনের জয়গানে আজ থাকছে এই মহান কিছু দূর্লভ ছবি।

‘দ্য গ্রেটেস্ট’ :

১৫ই আগস্ট থেকে ১০ই অক্টোবর অবধি বার্লিনের ‘ক্যামেরা ওয়ার্ক’ গ্যালারিতে বক্সিং তথা খেলাধুলার জগতের সুপারহিরো মোহাম্মদ আলির আলোকচিত্রের প্রদর্শনী চলবে৷ চিকাগোয় আলির এই ছবিটি তোলেন তাঁর এক প্রিয় ফটোগ্রাফার, জার্মান আলোকচিত্রশিল্পী টোমাস হ্যোপকার৷

খ্রিষ্টান সন্তানদের মতো :

মার্কিন ‘এস্কোয়ার’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের জন্য ১৯৬৭ সালে আলির এই ছবিটি তোলেন কার্ল ফিশার৷ এর ভিত্তি হলো রেনেসাঁস আমলের ইটালীয় চিত্রকলার একটি প্রামাণ্য ছবি: সন্ত সেবাস্তিয়ানের মৃত্যু৷ ১৯৬৭ সালে যখন ভিয়েতনাম যুদ্ধ তুঙ্গে, তখন আলি বাধ্যতামূলকভাবে মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে অস্বীকার করেন৷

পপ এবং স্টার :

১৯৬৪ সালে মিয়ামিতে ক্যাসিয়াস ক্লে-র দেখা বিটলসদের সঙ্গে – ক্লে তখনও আলি হননি৷ সেই ঐতিহাসিক সাক্ষাতের এই ছবিটি তুলেছিলেন হ্যারি বেনসন৷ ক্লে অথবা আলি কোনোসময়েই শুধু বক্সার ছিলেন না, এক হিসেবে তিনি ছিলেন খেলাধুলার জগতের প্রথম পপস্টার৷ যেমন এখানে তিনি যেন এক ঘুঁষিতে চার বিটলেকে ধরাশায়ী করছেন।

নক আউট :

সম্ভবত বক্সিং রিং-এ আলির সবচেয়ে নামকরা ছবি৷ লিউয়িস্টন, মেইন, ১৯৬৫: আলি সদ্য সেকেন্ড রাউন্ডে সনি লিস্টন-কে নক-আউট করেছেন৷ নিল লেইফার ছিলেন সেই ভাগ্যবান ফটোগ্রাফার যিনি এই ছবিটি তুলেছিলেন।

দোয়া কামনা :

১৯৬৫ সালে ক্যাসিয়াস ক্লে ইসলামধর্ম অবলম্বন করে মোহাম্মদ আলি নাম গ্রহণ করেন৷ ষাটের দশকের শেষদিকে তিনি ম্যালকম এক্স-এর মতো নাগরিক আন্দোলন নেতৃবর্গের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং মুসলমান ধর্ম গ্রহণ সম্পর্কে প্রকাশ্যভাবে কথাবার্তা বলতেন৷ আলির বক্সিং রিং-এ গ্লাভস হাতে দোয়া চাওয়ার এই ছবিটি তোলা হয় লন্ডনে ১৯৬৬ সালে; ছবি তোলেন টোমাস হ্যোপকার৷

‘দ্য শো মাস্ট গো অন’ :

আলি সবসময় যা করতেন, যেটাকে ইংরেজিতে বলে ‘প্লেয়িং টু দ্য গ্যালারি’ – বা জনতার মনোরঞ্জন৷ তিনি ছিলেন একজন ‘বর্ন এন্টারটেইনার’, এমনকি ট্রেনিং-এর সময়েও৷ স্কিপিং রোপ হাতে আলির এই ছবিটি তুলেছিলেন পেটার আঞ্জেলো জিমন, ১৯৭৪ সালে৷ সেই বছর আলি আফ্রিকার কিনশাসায় ‘রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল’ নামধারী ফাইটটিতে জর্জ ফোরম্যানকে হারিয়ে হেভিওয়েট খেতাব পুনর্বিজয় করেন৷

আত্মগরিমা :

মোহাম্মদ আলি নিজেকে বর্ণনা করতে গিয়ে সর্বক্ষণ যে দু’টি বিশেষণ ব্যবহার করতেন, সেগুলি হলো ‘গ্রেটেস্ট’ এবং ‘প্রিটি’ – মানে সুন্দর৷ ভালো বক্সার বলেই তাঁর মুখে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই৷ নয়ত নিজের চেহারা নিয়ে তাঁর হামবড়াই ছিল অনেকটাই লোক-দেখানো৷ চিকাগোর একটি চুল কাটার দোকানে এই ছবিটি তোলেন টোমাস হ্যোপকার৷

জহুরি চেনে জহর :

‘মোহাম্মদ আলি’ নামধারী ছবিটি থেকে বোঝা যায়, ফটোগ্রাফি নামধারী মাধ্যমটিকে আলি ঠিক কতটা বুঝতেন এবং নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য কাজে লাগাতে জানতেন৷ টোমাস হ্যোপকার-এর মতো আলোকচিত্রশিল্পীরা বলেন, আলির সঙ্গে ফটো শুট ছিল অতি সহজ কাজ৷

প্রতিক্ষণ/এডি/এমএস